প্রকাশিত: ৩০/০৭/২০১৭ ১০:৩০ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:৫৭ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট ::
উখিয়া থানা পুলিশ কতৃক কক্সবাজার-টেকনাফ আরাকান সড়ক থেকে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা এনজিও সংস্থা আরটিএমের রোগী পরিবহনের জন্য নিয়োজিত এ্যাম্বুলেন্স থেকে ১৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় তোড়পাড় চলছে। এ ঘটনায় ২ ড্রাইভারকে আটক করা হলেও ইয়াবার মুল হোতারা রয়েছে ধরাছোয়ার বাইরে।
জানা যায়, টেকনাফের মুছনী ক্যাম্পে কাজ করা এনজিও সংস্থা আরটিএমর রোগী পরিবহনের এ্যাম্বুলেন্স থেকে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় ২ জনকে আটক করে মামলা দায়েরের পর রবিবার জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। কিন্ত ঘটনায় জড়িত ইয়াবা মুল হোতারা রয়ে গেছে ধরাছোয়ার বাইরে। রোগী পরিবহনের গাড়ীতে কি করে ইয়াবা এলো তা গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করছে এনজিও সংস্থাটি। টেকনাফের একাধিক সুত্রে জানা গেছে,এ্যাম্বুলেন্স থেকে উদ্ধার করা ইয়াবা গুলো মুছনি এলাকার চিন্থিত ইয়াবা ব্যবসায়ী জহির আহামদ ও জামাল হোছেন সিন্ডিকেটের। জহির আহামদ ও জামাল হোছেন পিতা পুত্রের এ সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদে এ্যাম্বুলেন্স ভিক্তিক ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কারন হিসেবে জানা যায়, জামাল উদ্দিনের ছোটভাই বশির এনজিও সংস্থা আরটিএমের ক্লিনিকে কাজ করে। এতে এ্যম্বুলেন্স ড্রাইভারদের সাথে সখ্য গড়ে উঠে তার। ভোটভাই আবুল বশিরের সহায়তায় রোগী পরিবহনের এ্যম্বুলেন্সে ইয়াবা পাচারে তাদের খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। ইতিপূবের্ও জহির-জামাল সিন্ডিকেটের ইয়াবা নিয়ে আটক হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে জামাল উদ্দিনের ছোটবোন মোহছেনা বেগম ও বোন জামাই জুয়েল।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত ৮ টার দিকে গোপন সংবাদে ভিক্তিতে এম্বুলেন্সে করে ইয়াবা পাচার হওয়ার খবর পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশের এসআই খাজা মাইন উদ্দিন,এসআই নাজমুল হুদা ও এ এস আই সোহেল ব্যাপারীর নেতৃত্বে উখিয়া থানার সন্মুখে কক্সবাজার-টেকনাফ আরাকান সড়কে উৎপেতে থাকে। এসময় টেকনাফ মুছনী ক্যাম্প থেকে রোগী নিয়ে ছেড়ে আসা ঢাকা মেট্রোছ-৭১-২৪৯২ নাম্বারের এ্যম্বুলেন্সটি থামায়। এ সময় থানা পুলিশ ভিতরে রোগী দেখতে পেয়ে এ্যম্বুলেন্সটি পুলিশ প্রহরায় কক্সবাজার নিয়ে যায়। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রোগী নামিয়ে দিয়ে এ্যম্বুলেন্সটি আবার উখিয়া থানায় নিয়ে আসে। এ সময় এ্যম্বুলেন্সটি তল্লাসী চালিয়ে ঢুল বক্সের মধ্যে সুকৌশলে রাখা ১৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় এ্যমবুলেন্সটির ড্রাইভার সাতকানিয়া উপজেলার মাদারসা গ্রামের কালু মিয়ার পুত্র মাহমদুল হক প্রকাশ রানা (৩২) ও টেকনাফ উপজেলার মুছনী গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের পুত্র বাদশা মিয়া (৩৫) কে আটক করলেও ইয়াবার মুল হোতা রয়ে গেছে অধরা। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের বলেন, রোগী পরিবহনের কাজে নিয়োজিত এ্যাম্বুলেন্সে ইয়াবা পাচার দুঃখজনক। এ ঘটনায় যারা জড়িত তদন্তপূর্বক তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।‘

পাঠকের মতামত

টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হত্যা মামলায় বদিকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো

সাত বছর আগে কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল হক হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক ...

রোহিঙ্গা সংকটে কক্সবাজারবাসীর অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে: নাহিদ

বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নিতে গিয়ে কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের প্রতি অবিচার করছে—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক ...